
ওশান নিউজ প্রতিবেদক : আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে অন্তর্বর্তী
সরকারের উপদেষ্টাদের প্রার্থী হওয়ার বিরোধিতা করেছে জাতীয় নাগরিক জোট। এ দাবিতে
সংগঠনটি মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে।
আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) সকালে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করতে হলে উপদেষ্টাদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ করা জরুরি।
জোটের পক্ষ থেকে জানানো হয়, তারা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, ভোটাধিকার নিশ্চিতকরণ, টেকসই জনবান্ধব সংস্কার বাস্তবায়ন, দমনমূলক কালো আইন বাতিল এবং অন্তর্বর্তী সরকারের জবাবদিহিতা নিশ্চিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কাছে স্মারকলিপি দেবে।
গ্রীন পার্টির সভাপতি রাজু আহমেদ খান বলেন, আমরা চাই উপদেষ্টারা একটি সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচন উপহার দিক।
জনগণের প্রত্যাশিত নির্বাচনের নির্দিষ্ট তারিখ দ্রুত ঘোষণা করতে হবে। সমাজকল্যাণ পরিষদের সভাপতি গিয়াস উদ্দিন খোকন বলেন, জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনতে আমরা দীর্ঘদিন আন্দোলন করেছি।
এখন সময় এসেছে দ্রুত নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার। তবে যারা উপদেষ্টা পরিষদে আছেন, তারা কোনোভাবেই প্রার্থী হতে পারবেন না।
সাধারণ মানুষ যেন তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে, সেটিই এখন মূল লক্ষ্য। জনতার অধিকার পার্টির সভাপতি তারিকুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতার রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে দায়িত্ব নিয়েছিলেন উপদেষ্টারা, কিন্তু তারা ব্যর্থ হয়েছেন।
আমরা চাই না,
এই উপদেষ্টারা ভবিষ্যতে সংসদে গিয়ে আবারও তা কলঙ্কিত করুক।
দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন অভিযোগ করেন, যে উপদেষ্টারা নির্বাচনে অংশ নিতে চায়, তারা শেখ হাসিনার মতো দুর্নীতিবাজ।
গত এক বছরে তারা হাজার হাজার কোটি টাকা লুট করেছে, যা নির্বাচনে ব্যবহার হতে পারে। এই দাবি কোনো ব্যক্তিগত নয়, এটি জনগণের দাবি।
আমজনতা দলের সাধারণ সম্পাদক মো. তারেক রহমান বলেন, উপদেষ্টারা নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবে না।
তারা সরকারি অর্থ ব্যবহার করে নির্বাচনী প্রস্তুতি নিচ্ছে। এক উপজেলায় ৪০০ কোটি টাকার বরাদ্দ নিয়েছে, যা নির্বাচনী ফান্ড হিসেবে ব্যবহার হবে।
তিনি আরও বলেন, প্রধান উপদেষ্টাকে বলতে চাই আপনি ভাই-ব্রাদারের সরকার বানিয়ে ফেলেছেন। যারা নির্বাচনে অংশ নিতে আগ্রহ দেখাচ্ছে, তাদের অবিলম্বে উপদেষ্টা পরিষদ থেকে বহিষ্কার করতে হবে।
আগামী সরকারের কর্মপরিকল্পনা নিয়ে ঐকমত্য
কমিশন কাজ করলেও, অন্তর্বর্তী
সরকারের ভূমিকা নিয়ে তারা কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।
মানববন্ধন শেষে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে জাতীয় সংসদ ভবনের ৬
নম্বর গেট দিয়ে ঐকমত্য কমিশনের কার্যালয়ে স্মারকলিপি জমা দেয় জাতীয় নাগরিক
জোটের নেতারা।